news-details image

আজ মধ্যরাত থেকে কর্মহীন হবেন ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে

মোঃ ছিদ্দিক ভোলা প্রতিনিধিঃ

আজ মধ্যরাত থেকে কর্মহীন হবেন ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলেআজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে নদীতে মাছ স্বীকারের ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা। এর আওতায় থাকছে ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়ার ১৯০ কিলোমিটার এলাকা। এতে আগামী ২২ দিন কর্মহীন হয়ে পড়বেন ভোলার ৭ উপজেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে।

তারমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার। বাকি ৩০ হাজারের বেশি জেলে এই দিনগুলো কীভাবে পার করবেন তা নিয়ে পড়েছেন চিন্তায়।নিষেধাজ্ঞার সময়ে ঋণের কিস্তি বন্ধ ও অভিযানের প্রথম সপ্তাহে সরকারি খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।২০২৪-২৫ অর্থবছরে মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহণ, ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

আর এতেই বিগত দিনের ধার-দেনা ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সংসার চালানো নিয়ে ভোলার জেলেদের কপালে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ২ লাখের বেশি জেলে আছে। এর বিপরীতে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল এসেছে ১ লাখ ৪০ হাজার জেলের জন্য। কিন্তু নিবন্ধিত জেলের সংখ্যাই ১ লাখ ৬৮ হাজার। এতে এ বছর সরকারি প্রণোদনা পাবেন না অন্তত ২৮ হাজার নিবন্ধিত জেলে। এছাড়া প্রতি বছর ৩০ হাজার অনিবন্ধিত জেলে থাকেন সরকারি প্রণোদনার বাইরে।সরেজমিনে ভোলার দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশ শিকারে সরকারের আরোপিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে প্রায় বেশি ভাগ জেলে ও ট্রলার মালিকরা তাদের মাছ ধরার সরঞ্জামাদি তীরে উঠিয়ে রেখেছেন।এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে রয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সরকার জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও সব জেলে এ চাল পান না। যেসব জেলে সরকারি বরাদ্দের চাল পান তাঁরাও এক সপ্তাহের বেশি এ চাল দিয়ে সংসার চালাতে পারেন না।জেলেরা আরও বলেন, অন্যদিকে জেলেদের সময় মতো চালও দিতেন না তারা। এতে আমরা কর্মহীন জেলেরা অভিযানের মধ্যে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতাম। আমরা চাই এ বছর যেন প্রকৃত জেলেদের সঠিক ওজন এবং অভিযানের প্রথম সপ্তাহে সরকারি সহায়তার চাল যেন আমরা পাই, এটাই আমাদের দাবি।

এদিকে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন বলেন নিষিদ্ধ এই সময়ে আইন অমান্য করে কেউ ইলিশ আহরণ মজুদ পরিবহন বা বিক্রি করলে বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ad-image

শেয়ার করুন


© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত NewsPediaBD

ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করেছে GenRes